অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে জুয়ার ফাঁদে পা দিচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এসব জুয়া খেলার সাইটে যুক্ত হয়ে সর্বস্ব হারাতে হচ্ছে। এই অনলাইন অ্যাপগুলোর টার্গেট থাকে মূলত দেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থী ও বেকার জনগোষ্ঠীর ওপর। দেশের গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা, শহরে এই জুয়ার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে।
গোটা দেশে বিপুলসংখ্যক তরুণ এখন অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। তিন পাত্তি, লাইভ ক্যাসিনো, ক্রিকেট, ফুটবলসহ দুই শতাধিক মুঠোফোন অ্যাপে জুয়া খেলা হয়। পুরো ব্যাংকিং প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে ডলারের মাধ্যমে জুয়ার যাবতীয় লেনদেন করা হয়। হুন্ডির মাধ্যমে সেই টাকা চলে যায় দেশের বাইরে।
বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও অপরাধীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেম বা জুয়ায় অংশগ্রহণ করে। এভাবে অপরাধী চক্র দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে। এর মধ্যে কয়েকশ জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর, ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে জুয়াসংক্রান্ত কয়েকশ অ্যাপ ও লিংক বন্ধে রিপোর্টও করা হয়েছে।
এর আগে বিটিআরসিকে অবিলম্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশন, বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংককে সব মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী, যেগুলো সব বেটিং ওয়েবসাইটের অর্থ আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় তাদের গেটওয়ে এবং চ্যানেলগুলো বন্ধের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।